দৃশ্যকল্প-১: 'ক' দেশটি শিল্পোন্নত। দেশটির একটি ব্যবসায়ী দল উৎপাদিত শিল্পপণ্যের বিক্রি এবং উপকরণ সংগ্রহ করতে 'খ' দেশে যায়। এক পর্যায়ে 'খ' দেশের সরকারের লোকজনের সহায়তায় শাসন ক্ষমতা দখল করে।
দৃশ্যকল্প-২: 'খ' রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যবসায়ী দল অর্থ আদায়ের দায়িত্ব নেয় আর দখল সহযোগীদের দেয় শাসন পরিচালনার সুযোগ। এতে কষ্টে পড়ে যায় সাধারণ জনগণ।
উদ্দীপকে বর্ণিত 'ক' দেশের ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বাংলায় ইংরেজ কোম্পানির আগমন ও শাসনক্ষমতা দখলের বিষয়টি ইঙ্গিত করে।
ইউরোপের শিল্পোন্নত দেশগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের হাত ধরে অর্থনীতি বিকাশের ফলে কাঁচামাল ও উৎপাদনসামগ্রীর জন্য বাজারের সন্ধানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে তাদের লক্ষ্যস্থল হয় 'খ' দেশ তথা বাংলা সিল্ক ও মিহি কাপড় এবং মসলা বাণিজ্যের কেন্দ্র হওয়ায় বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে থাকে। এই বণিকদের অন্যতম একদল ছিল 'ক' দেশ তথা ব্রিটিশ বা ইংরেজ বণিক দল। ক্রমে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজদের ভূমিকা প্রাধান্য পেতে থাকে। তারা রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দখল করতে তৎপর হয়। নবাব আলীবর্দি খাঁর মৃত্যু-পরবর্তী নবাব সিরাজউদ্দৌলার কম বয়স ও অনভিজ্ঞতার সুযোগটি কাজে লাগাতে ষড়যন্ত্রে তৎপর হয় ইংরেজ কোম্পানির বণিক গোষ্ঠী। ফলে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে প্রধান সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতায় নবাবকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় মাড়ওয়াড়ি ক্ষমতাবান বণিকও রাজদরবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় বাংলার শাসন ক্ষমতা কোম্পানির হাতে চলে যায়। এভাবেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসকে পরিণত হয়।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের 'ক' দেশের ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বাংলায় ইংরেজ কোম্পানির আগমন ও শাসনক্ষমতা দখলের বিষয়টি ইঙ্গিত করে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?