Academy

দৃশ্যকল্প-১: 'ক' দেশটি শিল্পোন্নত। দেশটির একটি ব্যবসায়ী দল উৎপাদিত শিল্পপণ্যের বিক্রি এবং উপকরণ সংগ্রহ করতে 'খ' দেশে যায়। এক পর্যায়ে 'খ' দেশের সরকারের লোকজনের সহায়তায় শাসন ক্ষমতা দখল করে।

দৃশ্যকল্প-২: 'খ' রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যবসায়ী দল অর্থ আদায়ের দায়িত্ব নেয় আর দখল সহযোগীদের দেয় শাসন পরিচালনার সুযোগ। এতে কষ্টে পড়ে যায় সাধারণ জনগণ।

উদ্দীপকে বর্ণিত 'ক' দেশের ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম পাঠ্যবইয়ের কোন বিষয়কে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

Created: 3 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

উদ্দীপকে বর্ণিত 'ক' দেশের ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বাংলায় ইংরেজ কোম্পানির আগমন ও শাসনক্ষমতা দখলের বিষয়টি ইঙ্গিত করে।
ইউরোপের শিল্পোন্নত দেশগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের হাত ধরে অর্থনীতি বিকাশের ফলে কাঁচামাল ও উৎপাদনসামগ্রীর জন্য বাজারের সন্ধানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে তাদের লক্ষ্যস্থল হয় 'খ' দেশ তথা বাংলা সিল্ক ও মিহি কাপড় এবং মসলা বাণিজ্যের কেন্দ্র হওয়ায় বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে থাকে। এই বণিকদের অন্যতম একদল ছিল 'ক' দেশ তথা ব্রিটিশ বা ইংরেজ বণিক দল। ক্রমে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজদের ভূমিকা প্রাধান্য পেতে থাকে। তারা রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দখল করতে তৎপর হয়। নবাব আলীবর্দি খাঁর মৃত্যু-পরবর্তী নবাব সিরাজউদ্দৌলার কম বয়স ও অনভিজ্ঞতার সুযোগটি কাজে লাগাতে ষড়যন্ত্রে তৎপর হয় ইংরেজ কোম্পানির বণিক গোষ্ঠী। ফলে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে প্রধান সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতায় নবাবকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় মাড়ওয়াড়ি ক্ষমতাবান বণিকও রাজদরবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় বাংলার শাসন ক্ষমতা কোম্পানির হাতে চলে যায়। এভাবেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসকে পরিণত হয়।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের 'ক' দেশের ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বাংলায় ইংরেজ কোম্পানির আগমন ও শাসনক্ষমতা দখলের বিষয়টি ইঙ্গিত করে।

3 months ago

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

উপনিবেশিকরণ হলো একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ অন্য দেশকে অর্থনৈতিক শোষণ এবং লাভের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে আনে। দখলকৃত দেশটি দখলকারী দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। বাংলাও প্রায় দুইশ বছর ইংরেজদের অধীনে উপনিবেশ ছিল।

বাংলায় মানব বসতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল ধনসম্পদে ভরপুর থাকায় বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসতি গড়ে তোলে। বাংলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই ছিল বহিরাগতদের আকর্ষণের প্রধান কারণ।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘ সময় ধরে কোনো শক্তিশালী শাসক না থাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই সময়কে মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয়। এটি সংস্কৃত ভাষায় 'বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে' এমন অরাজকতার সময় নির্দেশ করে। এ সময়ে বাংলা বহু রাজ্য বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।

বাংলার স্বাধীন সুলতানি শাসনের সূচনা হয় ১৩৩৮ সালে। সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ দিল্লির সুলতানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

সুলতানি আমলে বাংলার প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান - শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। তিনি বাংলার বৃহদাংশ অধিকার করে 'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' উপাধি গ্রহণ করেন। তার শাসনকালে বাংলার ঐক্য, 'স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়

সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...